মামুনুর রশিদ তানিম
অসগুড পার্কিন্স সিনেমাটার ৩ অংকে আলাদা আলাদা টোনালিটি রেখেছে, এই ব্যাপারটা একটু চমকই দিয়েছে। প্রথম অংকে হররের আভাসটা দিয়েই পুরোপুরি ড্রামার মেকানিজমে যেভাবে ভিড়ল, সেটা বেশ! তবে তৃতীয় অংক, সামগ্রিক আবহটায় সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে পারেনি। তাই টোনালিটিতে ওই অসমতা রয়ে যায়। কিন্তু এমন উদ্ভাবনী গোরের স্টাইল দেখে থমকে যেতে হয়!
এবার সে তার সবসময়কার আবহে ভারী, আর্টহাউজ হরর থেকে বেরিয়ে অনেকখানি মূলধারার আবেদনে তো গিয়েছে—কিন্তু ওই ইন্ডি স্টাইল, তীর্যক হাস্যরসে ভরা গোরে ‘দ্য মাংকি’ আলাদাই দেখতে হয়েছে।
একে তো অপ্রত্যাশিত সব গোরের সেটপিস; প্রপ্স তারউপর ওতে আবার উইট! এরকম গোরি হররে এমন তীর্যক হাস্যরস এর ভায়োলেন্সের উপাদানেই লুকিয়ে থাকবে, এটা আঁচ করা যায় না; ওসগুড পার্কিন্সের ফিল্মমেকিংয়ের নৈপুণ্যে। হঠাৎ করে তাকাশি মিকের কথা মনে করায় (সমাপ্তিতে একটা রেফারেন্সও আছে সরাসরি), হঠাৎ করে জিয়ালোর কথা মনে করায়, আবার ‘স’- এর মতো স্ল্যাশারের ইন্ডি আবেদনটাও ধরে রেখেছে ‘দ্য মাংকি’। এমন নায়েলিস্টিক বক্তব্য আর ধূর্ত; অস্বস্তিকর; ক্ষেপাটে উইটের কথা ওসগুড পার্কিন্সের বন্য স্বভাবটার কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে।
এবার সে তার সবসময়কার আবহে ভারী, আর্টহাউজ হরর থেকে বেরিয়ে অনেকখানি মূলধারার আবেদনে তো গিয়েছে—কিন্তু ওই ইন্ডি স্টাইল, তীর্যক হাস্যরসে ভরা গোরে ‘দ্য মাংকি’ আলাদাই দেখতে হয়েছে। ভালোমন্দ লাগার জায়গায় অনেকেরই হয়তো প্রতিক্রিয়া গতানুগতিক মিশ্রতায় থাকবে, কিন্তু ওসগুডের সিনেমাটা যে ওই দাগে হাঁটেইনি; সেটা৷ ভালো লাগার ব্যাপার।
দ্য মাংকি
পরিচালক: অসগুড পার্কিন্স
প্রকাশকাল: ২০২৫