দিপু চন্দ্র দেব
সরদার ফজলুল করিমের “অতিক্রান্ত সময়”-এ আমরা তার প্রতিদিনের জীবনের একটা সাধারণ ধারণা পাই, বইটি তার আত্মজীবনী নয়, দিনলিপি। তার খ্যাতির মূলে আছে প্লেটোর “রিপাবলিক” অ্যারিস্টটলের “পলিটিকস” এঙ্গেলস-এর “এন্টি-ডুরিং” অনুবাদ। বইগুলোর ভার বিবেচনায় নিলে তিনি যে বয়সে সেগুলো অনুবাদ করেছিলেন, তা বিস্ময়ই জাগায়। “দর্শনকোষ” রচনাও তাকে বুদ্ধিজীবী সমাজে স্থায়ী আসন দিয়েছে। ফলে, তার দিনলিপি আমাদের আগ্রহ তৈরি করে। আপাত অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দিয়ে বইটি গুছিয়ে সম্পাদনা করেছেন স্বপন নাথ। একটি ভূমিকাও আছে যা নতুন পাঠকদের কাছে সরদারকে তুলে ধরতে সহায়ক হবে।
তবে সবচেয়ে বড় কথাটি হলো একজন জীবন ঘনিষ্ঠ চিন্তক হিসেবে তিনি কীভাবে তার সময়কে দেখেছেন তার বিবরণ পাই বইটিতে। যা প্রচলিত মত-পথকে ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করে।
আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি, বের্টোল্ট ব্রেখট-এর “ডায়েরি, ১৯২০-২২”, বাংলাদেশের নাটকের উজ্জ্বল পুরুষ সেলিম আল দীন-এর “দিনলিপি”—এগুলো আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে তাদের নিজ স্বাতন্ত্রে। কারণ দিনপঞ্জিগুলোতে যুক্ত হয়েছিল তাদের দর্শন, ভাবনা। “সরদার ফজলুল করিম: দিনলিপি” শিরোনামে একটি একটি দিনলিপি তার ইতোমধ্যে আছে। যেটির মুখবন্ধ লিখেছিলেন আনিসুজ্জামান। প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেটিতে তার গভীর ভাবনা ঋদ্ধ করে। বর্তমান বইটিতেও স্মৃতির দেখা মেলে। কারো সাথে দেখা হওয়া, কোথাও যাওয়া—এসব বিষয়ও উঠে এসেছে।
তবে সবচেয়ে বড় কথাটি হলো একজন জীবন ঘনিষ্ঠ চিন্তক হিসেবে তিনি কীভাবে তার সময়কে দেখেছেন তার বিবরণ পাই বইটিতে। যা প্রচলিত মত-পথকে ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করে। তার জীবন তো বৈচিত্রপূর্ণ এর মধ্যে ঔপনিবেশিক সময় থেকে স্বাধীন বাংলা পর্যন্ত পাড়ি দিয়ে বহুদূর দেখেছেন তিনি। এই লেখাগুলোয় সেসব ধরা দেয়। ইতিহাসবোধ জাগায়। ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তার প্রতিদিনের—ভাবনা, দেখা, শোনা—যাপিত জীবন ধরে রাখা আছে বইটিতে।
অতিক্রান্ত সময়
লেখক : সরদার ফজলুল করিম
সম্পাদনা: স্বপন নাথ
বিষয় : দিনলিপি
প্রকাশকাল : ২০২৫
প্রকাশক : কথাপ্রকাশ
দাম : ১২০০ টাকা।
বইটি কিনতে চাইলে:
অতিক্রান্ত সময় (Atikranto Shomoy) – বাহিরানা