দিপু চন্দ্র দেব
বিশ্বের সব ঘটনাবলি দুই মলাটের ভেতর জানার একমাত্র মাধ্যম ছিল বিশ্বকোষ। যেমন আর্হেন্তিনার বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক হোর্হে লুইস বোর্হেস “ব্রিটানিকা” নামক বিশ্বকোষের শরণাপন্ন হতেন বলে আমরা জানি। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির এমন অবস্থায় আমরা পৌঁছেছি যে, গুগলই আমাদের সব জানিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, চিরায়ত বিশ্বকোষগুলো অনলাইনের সংরক্ষিত হচ্ছে। শফি আহমেদ তার “বিশ্বকোষ” বইটিতে স্বয়ং এই বিশ্বকোষের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে আমাদের ধারণা।
তবে সবচেয়ে দারুণ ও সময়োপযোগী কাজ হলো বিশ্বকোষের বাংলাদেশের ইতিহাস “বাংলা বিশ্বকোষ” নামক অধ্যায়টি, এখানে তিনি বাংলায় এর ইতিহাস তুলে ধরেছেন। শেষে যুক্ত হয়েছে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বকোষ “উইকিপিডিয়া” নিয়ে আলোচনা। যেটি ছাড়া তথ্য জানার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটির বিবর্তনকে জানা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
একটি সম্মৃদ্ধ ভূমিকার পর, বইটি শুরু হয়েছে “বিশ্বকোষের অতি-সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” নামের অধ্যায় দিয়ে। এখানে লেখক আমাদের জানাচ্ছেন, “বিখ্যাত রোমানা পণ্ডিত প্লিনির প্রাকৃতিক ইতিহাস বা Historia Naturalis (৭৭ খৃষ্টাব্দে) জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বৈশ্বিকভাবে প্রথম শ্রেণীবিভক্ত তথ্যপঞ্জি হিসেবে স্বীকৃত।” লেখক শুরু করেছেন একদম শুরু থেকে। প্লিনির বইটি পরবর্তী দেড় হাজার বছর কোষগ্রন্থের সূত্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাও জানা যাচ্ছে বইটি থেকে। মোট কথা বিশ্বকোষের ইতিহাসের একটি সাধারণ রূপরেখা পাওয়া যাবে এখানে।
এরপর এসেছে এর আকার, গঠন ও বৈচিত্র নিয়ে আলোচনা। ব্রিটানিকা নিয়েও বিষদ আলোচনা এসেছে একটি অধ্যায়জুড়ে। তবে সবচেয়ে দারুণ ও সময়োপযোগী কাজ হলো বিশ্বকোষের বাংলাদেশের ইতিহাস “বাংলা বিশ্বকোষ” নামক অধ্যায়টি, এখানে তিনি বাংলায় এর ইতিহাস তুলে ধরেছেন। শেষে যুক্ত হয়েছে একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বকোষ “উইকিপিডিয়া” নিয়ে আলোচনা। যেটি ছাড়া তথ্য জানার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটির বিবর্তনকে জানা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
যারা বিশ্বকোষের ইতিহাস ও সময়কে জানতে আগ্রহী তাদের ভালো লাগবে বইটি।
বিশ্বকোষ
লেখক : শফি আহমেদ
বিষয় : ইতিহাস
প্রকাশকাল : ২০২৫
প্রকাশক : কবি প্রকাশনী
দাম : ২৫০ টাকা।
বইটি কিনতে চাইলে:
বিশ্বকোষ (Bisshyakush) – বাহিরানা