নেটফ্লিক্স তাদের ওয়েবসাইটে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ সাহিত্য থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের উপর একটি লেখা প্রকাশ করেছিল, “Get Lit(erary) with These 18 Movies Adapted from Books”। অনেকেই ভালো চলচ্চিত্র বিষয়ে জানতে চান যেগুলো সাহিত্য থেকে তৈরি হয়েছে। এই লেখাটি তাদের নিরাশ করবে না। লেখাটি বাহিরানার জন্য অনুবাদ করেছেন শির্ষেন্দু ভট্টাচার্য অংশু।
বিভাগীয় সম্পাদক
আপনার বই সংঘকে জানান—এই সিনেমাগুলো সবই দুর্দান্ত বইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
মেরি সোলোসি
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
এবার স্বীকার করতেই হবে : বই সবসময় সিনেমার চেয়ে ভালো নয়!
সিনেমার জন্মলগ্ন থেকেই পরিচালকরা জনপ্রিয় বইয়ের পাতাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলছেন—প্রভাবশালী উপন্যাস থেকে শুরু করে রহস্য গল্প, কমিক্স, কিংবা বইয়ের ক্লাবগুলোর পছন্দগুলোকে। কিন্তু যদি বই থেকে নির্মিত সিনেমা খুঁজতে চান, তাহলে লাইব্রেরিয়ানের সহায়তা নেওয়ার দরকার নেই—আমরা বাছাই করেছি কিছু চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয় চলচ্চিত্র, যেগুলোকে সরাসরি বইয়ের পাতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু অসংখ্য অ্যাডাপ্টেশন রয়েছে, তাই আমরা এই তালিকাটি শুধুমাত্র নেটফ্লিক্সের মৌলিক চলচ্চিত্রের মধ্যে সীমিত রেখেছি। এই “পৃষ্ঠা থেকে পর্দায়” গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে রেবেকা হলের হারলেম রেঁনেসা ক্লাসিক “পাসিং”-এর মর্মস্পর্শী রূপায়ণ, জিনা প্রিন্স-বাইথিউডের কমিক “দ্য ওল্ড গার্ড” থেকে নিয়ে তৈরি কিনেটিক অ্যাকশন-প্যাকড সিনেমা, এবং মার্টিন স্কোরসেজির মনোহর অপরাধ গাঁথা ননফিকশন মব দিনপঞ্জি বাস্তবরূপ দেওয়া “আই হিয়ারড ইউ পেইন্ট হাউসেস”—এবং আরও অনেকগুলোর মধ্যে। আপনার প্রিয় বইটিকে পর্দায় জীবন্ত দেখতে চান, নাকি পুরো উপন্যাস পড়ার চেয়ে সিনেমাটি দেখতেই বেশি পছন্দ করেন (কোনো সমস্যা নেই, আমরা সবাই এমন করি!), সাহিত্যের স্বাদ পেতে এই চলচ্চিত্রগুলোর দিকে নজর দিন।
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট

২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া “অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট” চলচ্চিত্রটি নিয়ে হইচই কম হয়নি: এডওয়ার্ড বার্জার নির্মিত এরিখ মারিয়া রেমার্কের ১৯২৯ সালের উপন্যাসের এই জার্মান অভিযোজনাটি নয়টি অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল এবং চারটি পুরস্কার জিতে নেয় (সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, সেরা মৌলিক স্কোর এবং সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন)। এই অবিশ্বাস্য যুদ্ধবিরোধী মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক আদর্শবাদী জার্মান তরুণ সৈনিকের (ফেলিক্স কামেরার) গল্প বলে, যার বীরত্বের স্বপ্ন বাষ্পীভূত হয়ে যায় যুদ্ধের বিভীষিকাময় বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পর। এই যুদ্ধে, সে জানতে পারে—যতদূর সে আশা করতে পারে তা হলো বেঁচে থাকা।
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট
২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট | ১৮+ | ২০২২
বিস্টস অফ নো নেশন

২০১৫ সালে, এটি নেটফ্লিক্সের প্রথম ফিচার ফিল্ম ছিল; এখন, কয়েক বছর এবং কয়েকশো চলচ্চিত্রের পরেও, “বিস্টস অফ নো নেশন” এখনও স্ট্রিম করার জন্য মূল্যবান। ক্যারি জোজি ফুকুনাগাকৃত উজোদিনমা আইওয়ালার ২০০৫ সালের উপন্যাসের এ্যাডাপ্টেশন(অভিযোজন), এই নির্মম নাটকটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়া একটি অনির্দিষ্ট পশ্চিম আফ্রিকান দেশে বসবাসকারী এক কিশোর আগু (আব্রাহাম আত্তাহ)-কে ঘিরে আবর্তিত হয়। শিশু সৈনিক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর, আগু নৃশংস অপরাধ সংঘটিত করে এবং এক নির্মম কমান্ড্যান্টের (ইদ্রিস এলবা, স্ক্রিন অ্যাক্টর পুরস্কার (SAG)-বিজয়ী অভিনয় করছেন) হাতে নির্যাতনের শিকার হয়।
বিস্ট অব নো নেশন
২ ঘন্টা ১৭ মিনিট/ ১৮+/ ২০১৫
বার্ড বক্স

২০১৮ সালের শেষের দিকে, সুজানে বিয়ারের “বার্ড বক্স” (জশ ম্যালারম্যানের ২০১৪ সালের উপন্যাস অবলম্বনে) একটি ডিজিটাল সেনসেশনে পরিণত হয়েছিল; মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়া চোখ বেঁধে রাখা মিমে ফেটে পড়েছিল। এর অনুপ্রেরণা? এই হরর-থ্রিলারটির শিহরণ জাগানো কাহিনী, যেখানে এক নারী (সান্ড্রা বুলক) একটি অ্যাপোক্যালিপ্টিক বিশ্বে বেঁচে থাকার লড়াই করে, যেখানে মানুষ আত্মঘাতী বিভৎস দৃশ্য দেখে, কিন্তু চোখ ঢেকে রাখলে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। ২০২৩ সালে “বার্ড বক্স বার্সেলোনা” মুক্তির মাধ্যমে বার্ড বক্স সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স প্রসারিত হয়, যা মূল চলচ্চিত্রের সমান্তরাল সময়রেখায় ঘটে।
বার্ড বক্স
২ ঘণ্টা ৪ মিনিট | ১৮+ | ২০১৮
এনোলা হোমস

একটি পুনর্নির্মাণের অভিযোজন কেমন হবে? ন্যান্সি স্প্রিংগারের ইয়ং অ্যাডাল্ট ডিটেকটিভ উপন্যাস সিরিজে শার্লক হোমসের ছোট বোন—এনোলা হোমস’কে একজন বুদ্ধিমতী তরুণী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে, যে ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডের রীতিনীতিকে অতিক্রম করে নিজের মতো করে রহস্য সমাধান করে। মিলি ববি ব্রাউন হ্যারি ব্র্যাডবিয়ারের এই চমৎকার চলচ্চিত্রে প্রযোজনা ও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন (হেনরি ক্যাভিল এনোলার বিখ্যাত বড় ভাই এবং হেলেনা বোনাম কার্টার তাদের মায়ের ভূমিকায়)। ২০২২ সালের সিক্যুয়েলে তিনি আরও একটি কেস সমাধান করতে ফিরে আসেন।
এনোলা হোমস
২ ঘণ্টা ৪ মিনিট | ১৩+ | ২০২০
আই অ্যাম থিংকিং অফ এন্ডিং থিংস

চার্লি কফম্যানের লেখা ও পরিচালনায় ক্যালাইডোস্কোপিক “আই অ্যাম থিংকিং অফ এন্ডিং থিংস”—ইয়ান রিডের ২০১৬ সালের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি—কে সহজভাবে বর্ণনা করা কঠিন। তবে একটি চেষ্টা করা যাক: এক যুবক (জেসি প্লেমনস) তার বান্ধবীকে (জেসি বাকলে) তার বাবা-মায়ের (টনি কোলেট ও ডেভিড থিউলিস) সাথে দেখা করতে নিয়ে যায়। সহজ, তাই না? কিন্তু এটা আসল গল্পের মাত্র অর্ধেক, বা এমনকি অর্ধেকেরও কম, অথবা বাস্তবে যা ঘটে চলেছে প্রকৃতঅর্থে এটা তার চেয়েও বেশি। যাই হোক, এটি অবশ্যই চালিয়ে দেখুন। আর নোট নেওয়ার ইচ্ছাকে দমন করুন—যদি পারেন।
আই এম থিংকিং অফ এন্ডিং থিংস
২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট | ১৬+ | ২০২০
দ্য আইরিশম্যান

অল্প কিছু চলচ্চিত্রকারই তিন ঘণ্টারও বেশি দৈর্ঘ্যের সিনেমা বানিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন (এবং আশা করতে পারেন যে মানুষেরা তার পুরোটা দেখবে)। কিন্তু এটা বলা সুবিধাজনক যে মার্টিন স্কোরসেজি তাদের মধ্যে একজন—“দি আইরিশম্যান” ২০৯ মিনিটের প্রতিটি মুহূর্তই অর্জন করেছে (এবং ১০টি অস্কার মনোনয়নসহ)। সাবেক গোয়েন্দা চার্লস ব্রান্টের নন-ফিকশন বই “আই হিয়ারড ইউ পেইন্ট হাউসেস” অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমাটি মব ইনফোর্সার ফ্র্যাঙ্ক শিয়েরানের জীবনকাহিনী বর্ণনা করে, যা ব্রান্ট তার সাথে প্রায় পাঁচ বছরের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে লিখেছিলেন। স্কোরসেজির এই মন্ত্রমুগ্ধকর অপরাধ মহাকাব্যে রবার্ট ডি নিরো ফ্র্যাঙ্ক শিয়েরান, জো পেসি রাসেল বাফালিনো এবং আল পাচিনো জিমি হোফার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
দি আইরিশম্যান
৩ ঘণ্টা ২৯ মিনিট | ১৮+ | ২০১৯
দ্য কিলার

লেখক ম্যাটজ এবং শিল্পী লুক জ্যাকামনের ফ্রেঞ্চ গ্রাফিক নোভেল সিরিজ “দ্য কিলার”-এর ২০২৩ সালের অভিযোজনে এর উৎস উপাদানে ডেভিড ফিঞ্চার তার নিজস্ব খুনে প্রবৃত্তি নিয়ে এসেছেন। মিনিমালিস্ট, স্টাইলিশ এবং কালো হাস্যরসাত্মক এই নিও-নোয়ার থ্রিলারে মাইকেল ফাসবেন্ডার একজন নামবিহীন গুপ্তঘাতকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যে তার কাজে ফিঞ্চারের মতোই নির্ভুল এবং সুপরিকল্পিত। কিন্তু যখন এই পারফেকশনিস্ট ঘাতক একটি অপ্রত্যাশিত ভুল করে, তখন তার নিয়োগকর্তাদের প্রতিক্রিয়া তাকে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য করে—এক নতুন মিশন যেটাতে তাকে তার নিজেরই ঘোরগ্রস্থ নিয়মগুলোকে ভাঙতে হবে।
দ্য কিলার
১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট | ১৮+ | ২০২৩
লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার

১৯২৮ সালে ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশ করার পর ডি. এইচ. লরেন্সের এই উপন্যাসটি অশ্লীলতার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিষিদ্ধ ছিল। ভাগ্যক্রমে, যখন বইটি ১০০তম বার্ষিকীর দিকে পৌঁছাচ্ছে, এর লর দে ক্লেরমন্ট-টনেরের ২০২২ সালের অভিযোজনটি স্ট্রিম করতে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। এমা কোরিন শিরোনামের নারী চরিত্র কনস্ট্যান্স চ্যাটার্লির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যার ধনী স্বামী (ম্যাথিউ ডাকেট) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর কোমর নিচ থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি এস্টেটের গেমকিপার অলিভার মেলর্সের (জ্যাক ও’কনেল) সাথে অপ্রত্যাশিত প্রবল অনুরাগের সন্ধান পান, যাকে তিনি গ্রহণ করেন— স্মরণীয় এবং স্পষ্টভাবে—তার প্রেমিক হিসেবে।
লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার
২ ঘণ্টা ৭ মিনিট | ১৮+ | ২০২২
লিভ দ্য ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ড

আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন জীবনের শেষ বলে আমরা যেমন জানি সেটি দেখতে কেমন হতে পারে? রুমান আলামের উপন্যাস অবলম্বনে স্যাম এসমাইলের এই অস্থিরকর অভিযোজনটি প্রস্তাব করে যে এটি একটি সাধারণ দিনের মতোই লাগতে পারে—যতক্ষণ না এটি একেবারেই অন্যরকম হয়ে ওঠে। যখন ব্রুকলিনের এক দম্পতি (জুলিয়া রবার্টস এবং ইথান হক) তাদের সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাতে যান, তখন তাদের অবকাশ দুই অচেনা ব্যক্তির (মাহারশালা আলি এবং মাইহা’লা) দ্বারা ব্যাহত হয়। এই অমিল গ্রুপটি একসাথে একটি রহস্যময়, বিপর্যয়কর সঙ্কট মোকাবেলা করতে বাধ্য হয়, আর এর মধ্যেই তাদের আত্ম-অহংকার, ভয় এবং কুসংস্কারগুলো তাদের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে থাকে।
লিভ দ্য ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ড
২ ঘণ্টা ২১ মিনিট | ১৬+ | ২০২৩
দ্য লস্ট ডটার

এলেনা ফেরান্টের উপন্যাসের ম্যাগি গিলেনহালকৃত সিনেমাটিক রূপ: ছদ্মনামী ইতালীয় লেখকের ২০০৬ সালের উপন্যাসটি এই খ্যাতিমান অভিনেত্রীর পরিচালনায় অভিষেকের প্রাথমিক উপাদান সরবরাহ করেয়ে, যে জন্য তিনি সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্যের অস্কার মনোনয়ন পান। এই রহস্যময়, মনস্তাত্ত্বিক জটিল নাটকে অলিভিয়া কলম্যান লেডা চরিত্রে অভিনয় করেছেন, একজন অধ্যাপক ও অনুবাদক যিনি একা ছুটিতে থাকা অবস্থায় এক তরুণী মা (ডাকোটা জনসন) এর সাথে বন্ধুত্ব করেন। এই ঘটনা তার নিজের মাতৃত্বের প্রাথমিক দিনগুলোর (যেখানে জেসি বাকলে তরুণী লেডা চরিত্রে অভিনয় করেছেন) স্মৃতি জাগিয়ে তোলে—এবং মাতৃত্বের প্রতি তার গভীর দ্বিধার অনুভূতিকে।
দ্য লস্ট ডটার
২ ঘণ্টা ২ মিনিট | ১৮+ | ২০২১
দ্য ওল্ড গার্ড

গ্রেগ রাকার কমিক বই অবলম্বনে ২০২০ সালে জিনা প্রিন্স-বাইথিউডের “দ্য ওল্ড গার্ড”হলো একদল অমর যোদ্ধার গল্প, যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানবতার কল্যাণে বিপজ্জনক মিশন সম্পাদন করে আসছে। শার্লিজ থেরন এই শতাব্দীপ্রাচীন ভাড়াটে সৈন্যদলের নেতৃত্ব দেন, যাদের অনন্ত জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হয় যখন একজন নতুন মানুষ (কিকি লেইন) রহস্যজনকভাবে তাদের মতোই অমরত্বের “আশীর্বাদ” (বা অভিশাপ) নিয়ে তাদের দলে যোগ দেয়। সিক্যুয়েল আসার আগেই এটি দেখে নিন—যা ২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে।
দ্য ওল্ড গার্ড
২ ঘণ্টা ৬ মিনিট | ১৮+ | ২০২০
পাসিং

অভিনেত্রী থেকে পরিচালক হয়ে রেবেকা হল নেলা লারসেনের ১৯২৯ সালের কালজয়ী উপন্যাসের এই অভিযোজনটি অভিব্যক্তিপূর্ণ ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোয়াইটে চিত্রায়িত করার সিদ্ধান্ত নেন। “পাসিং” দুই শৈশবের বন্ধুর গল্প বলে—উভয়ই হালকা গাত্রবর্ণের কৃষ্ণাঙ্গ নারী—যারা ১৯২০-এর দশকে নিউইয়র্কে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে পুর্নিমিলিত হয়। তাদের একজন (টেসা থম্পসন) হারলেমে বসবাস করেন এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষকে বিয়ে করেছেন, অন্যজন (রুথ নেগা) নিজেকে শ্বেতাঙ্গ হিসেবে পরিচয় দিয়ে একজন ভুলোমনা বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ পুরুষকে বিয়ে করেছেন। হলের নিজের পারিবারিক ইতিহাসও তাকে এই উপন্যাসটি নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
পাসিং
১ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট | ১৬+ | ২০২১
দ্য পাওয়ার অফ দ্য ডগ

২০০৯ সালের “ব্রাইট স্টার”-এর পর প্রায় এক দশক চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে দূরে থাকার পর জেন ক্যাম্পিয়ন ২০২১ সালে টমাস স্যাভেজের ১৯৬৭ সালের ওয়েস্টার্ন উপন্যাসের এই শক্তিশালী অভিযোজন নিয়ে ফিরে আসেন। বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ “ফিল” চরিত্রে অভিনয় করেছেন, ১৯২০-এর দশকের মন্টানার এক স্যাডিস্টিক কিন্তু প্রতিভাবান পশুপালক, যার ভাই ও ব্যবসায়িক অংশীদার (জেসি প্লেমনস) একজন বিধবাকে (কিয়ার্স্টন ডান্স্ট) তার কিশোর ছেলেসহ (কোডি স্মিট-ম্যাকফি) বিয়ে করে—যাদের উভয়কে ফিল নিপীড়ন করে। এই চার অভিনেতাই তাদের অভিনয়ের জন্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন, এবং চলচ্চিত্রটি ক্যাম্পিয়নকে অস্কার ইতিহাসের তৃতীয় নারী হিসেবে সেরা পরিচালকের পুরস্কার এনে দেয়।
দ্য পাওয়ার অফ দ্য ডগ
২ ঘণ্টা ৮ মিনিট | ১৮+ | ২০২১
দ্য পাওয়ার অব দ্য ডগ— পুরুষালি বনাম বুদ্ধিমান পুরুষ – বাহিরানা
রেজ বল

সিডনি ফ্রিল্যান্ডের বাস্কেটবল ড্রামা “রেজ বল” হলো খেলার জগতের অবহেলিত কোণ থেকে আসা এক অবহেলিত গল্প, যা প্রযোজক লেব্রন জেমসের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তায় বড় পর্দায় এসেছে। মাইকেল পাওয়েলের প্রশংসিত ২০১৯ সালের নন-ফিকশন বই “ক্যানিয়ন ড্রিমস: এ বাস্কেটবল সিজন অন দ্য নাভাজো নেশন”-এর অনুপ্রেরণায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি একটি নেটিভ আমেরিকান রিজার্ভেশনের হাই স্কুল বাস্কেটবল দলের গল্প তুলে ধরে, যারা তাদের স্টার প্লেয়ারকে হারানোর শোক কাটিয়ে স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করে। পরিচালক ফ্রিল্যান্ড, যিনি নিজেও নাভাজো হাই স্কুল বাস্কেটবল দলে খেলেছেন, স্টারলিন হারজোর (রিজার্ভেশন ডগস) সাথে চিত্রনাট্য লিখেছেন—নিজের অভিজ্ঞতা এবং পাওয়েলের বই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে। তিনি চলচ্চিত্রের জগতকে নেটফ্লিক্সের কাছে “শুক্রবারের রাত্রির আলো, কিন্তু আদিবাসী দৃষ্টিকোণ থেকে” বলে বর্ণনা করেছেন।
রেজ বল
১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট | ১৮+ | ২০২৪
টু অল দ্য বয়েজ আই হ্যাভ লাভড বিফোর

আজকাল কেউ প্রেমপত্র লেখে না, কিন্তু সুজান জনসনের “টু অল দ্য বয়েজ আই হ্যাভ লাভড বিফোর” এই পুরনো রীতি ফিরিয়ে আনার পক্ষে একটি চমৎকার যুক্তি উপস্থাপন করে। জেনি হ্যানের একই নামের ইয়ং অ্যাডাল্ট উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি একটি ট্রিলজির প্রথম অংশ (এর সিক্যুয়েল “পি.এস. আই স্টিল লাভ ইউ” এবং “অলওয়েজ অ্যান্ড ফরেভার”-ও স্ট্রিমিংয়ে উপলব্ধ)। লানা কন্ডর এবং নোয়া সেন্টিনিও—এই টিন রোম-কমে তাদের ব্রেকআউট রোল পেয়েছিলেন, যেখানে লাজুক লারা জিন (কন্ডর) তার ক্রাশদের (সেন্টিনিওর চরিত্র পিটার সহ) জন্য গোপন, মূলত কাল্পনিক প্রেমপত্র লেখে—যেগুলো তার দুষ্টু ছোট বোন তার অনুমতি ছাড়াই পোস্ট করে দেয়।
টু অল দ্য বয়েজ আই হ্যাভ লাভড বিফোর
১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট | ১৮+ | ২০১৮
দ্য হোয়াইট টাইগার

রামিন বাহরানির “দ্য হোয়াইট টাইগার” হলো আরবিন্দ আদিগার ২০০৮ সালের বুকার পুরস্কার-জয়ী রোমাঞ্চকর, অন্ধকার বিদ্রুপপূর্ণ উপন্যাসের মহকাব্যিক সম্ভাবনাপূর্ণ ও বর্ণনায় সম্মৃদ্ধ অভিযোজন। সম্পূর্ণ ভারতে শুটিং করা এই চলচ্চিত্রটি বালরাম হালওয়াই (নবাগত আদর্শ গৌরব) নামের এক যুবককে অনুসরণ করে, যে একটি ছোট গ্রাম থেকে দিল্লির একজন ধনী ব্যবসায়ীর (রাজকুমার রাও) ড্রাইভারের চাকরি পায়। তার বসের ধারণার চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান বালরাম সাক্ষী হয় এই কারচুপিপূর্ণ এবং অন্যায় ব্যবস্থার দুর্নীতির, যা তাকে সবসময় নিচে ধরে রাখে। এবং সে যা শিখেছে তা ব্যবহার করে নিজের জন্য একটি নতুন জীবন গড়ে তোলে।
দ্য হোয়াইট টাইগার
২ ঘণ্টা ৭ মিনিট | ১৬+ | ২০২১
দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অফ হেনরি সুগার অ্যান্ড থ্রি মোর

২০০৯ সালের স্টপ-মোশন অ্যানিমেটেড ফিল্ম “ফ্যান্টাস্টিক মিস্টার ফক্স”-এ ওয়েস অ্যান্ডারসন প্রথমবারের মতো রোয়াল্ড ডালের রচনায় স্বতন্ত্র সংবেদনশীলতা প্রয়োগ করেছিলেন, এবং ২০২৩ সালের এই সংকলন ছবিতে তিনি সেই সম্পর্ককে আরও গভীরভাবে অন্বেষণ করেছেন। ডালের ১৯৭৭ সালের ছোটগল্প সংকলন “দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অফ হেনরি সুগার অ্যান্ড সিক্স মোর”-এর চারটি গল্প অবলম্বনে তৈরি এই অ্যান্থলজিতে রয়েছে স্বতন্ত্র স্বাদের চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। শিরোনাম গল্পটি (যার জন্য অ্যান্ডারসন তার প্রথম অস্কার জিতেছেন, এবং অষ্টম মনোনয়ন পেয়েছেন “সেরা লাইভ অ্যাকশন শর্ট” বিভাগে) বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকে নিয়ে এসেছে একজন ধনী ব্যক্তির ভূমিকায়, যে একধরনের এক্স-রে ভিশন অর্জন করে এবং তা জুয়াখেলায় প্রতারণার কাজে লাগায়। পরবর্তী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো—“দ্য সোয়ান”, “দ্য র্যাট ক্যাচার, এবং “পয়জন”-এ কাম্বারব্যাচ, র্যালফ ফিনেস, দেব প্যাটেল, বেন কিংসলি এবং রিচার্ড আয়োয়েডে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অ্যান্ডারসনের কল্পনায় ডালের জাদুকরী বিশ্বকে জীবন্ত করে তুলেছেন।
দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অফ হেনরি সুগার অ্যান্ড থ্রি মোর
১ ঘণ্টা ২৮ মিনিট | ১৩+ | ২০২৪
ইউ আর সো নট ইনভাইটেড টু মাই ব্যাট মিৎজভাহ

মিডল স্কুলের সেরা বন্ধুদের মধ্যে কী ধরনের ব্যক্তিগত ড্রামা সবচেয়ে তীব্র হতে পারে? “ইউ আর সো নট ইনভাইটেড টু মাই ব্যাট মিৎজভাহ” বলছে—এটাই সবচেয়ে তীব্র! ফিওনা রোজেনব্লুমের একই নামের ইয়ং অ্যাডাল্ট উপন্যাস অবলম্বনে সাম্মি কোহেনের এই কামিং-অফ-এজ কমেডিতে সানি স্যান্ডলার (যার বাস্তব জীবনের বাবা অ্যাডাম স্যান্ডলার প্রযোজনা করেছেন এবং পর্দায় তার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) এবং সামান্থা লরেন্স অভিনয় করেছেন দুই বেস্ট ফ্রেন্ড ফরেভার চরিত্রে, যাদের কিংবদন্তি ব্যাট মিৎজভাহের পরিকল্পনা ভেঙে পড়ে যখন একজন ক্রাশ তাদের মধ্যে ফাটল ধরায়।
ইউ আর সো নট ইনভাইটেড টু মাই ব্যাট মিৎজভাহ
১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট | ১৩+ | ২০২৩