দিপু চন্দ্র দেব
সমকালীন সমাজের অবস্থা বোঝার জন্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী’র সম্পাদনায় “নতুন দিগন্ত” বহুদিন যাবতই তার প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে যাচ্ছে। একজন বুদ্ধিজীবি হিসেবে তিনি নিজেও সবসময় নিজেকে নবায়নে বিশ্বাসী, তার লেখা পড়লে এরকমই মনে হয়। তিনি শুধু ঘটনাকেই দেখেন না এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন সূত্র ও গোপনতাকেও দেখেন। বাংলাদেশে বিগত সময়কে কীভাবে দেখেছেন তিনি? সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী’র “উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান” বইয়ের প্রবন্ধগুলোতে তা ধরা আছে।
বইটির প্রতিটি লেখাই বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্রকে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছে। ফলে, এখানে সমাজ ও রাষ্ট্রকে দেখা যায় পরিষ্কারভাবে
নতুন দিন্তের সম্পদকীয় থেকে সাতটি লেখা নিয়ে এই বই। ২০২৩-এর মার্চ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালের ভেতরে লেখা। তার অতীত ও বর্তমান পর্যবেক্ষণের চিত্র পাওয়া যায় প্রবন্ধগুলোয়। এখানে অভ্যুত্থান নিয়ে যেমন তার ভাবনা আছে তেমনি গুম-নির্যাতনের সময়পর্ব নিয়েও চিন্তা আছে।
যেমন, প্রথম প্রবন্ধ “বিকল্প কি নেই?”-এ তিনি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার পর তার লাশ পাওয়া গেল, তদন্তকারীরা বলল আত্মহত্যা কিন্তু ছেলেটির বাবা বলছেন অন্যকথা। এই ঘটনাটির আত্মহত্যা ধারণাটির বিরুদ্ধে ছাত্রটির বাবা ও বন্ধুদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্যের সমমাত্রায় করোনাসময়ের আত্মহত্যার ঘটনাগুলোকে নিয়ে এসেছেন সিরাজুল ইসলাম। কেন এই আত্মহত্যা? এর বিকল্প নিয়েই এই লেখাটি। যেখানে তিনি বিভিন্ন পক্ষ থেকে তার সিদ্ধান্ত টানার চেষ্টা করেছেন। লেখাটি আত্মহত্যা নিয়েই কিন্তু তিনি টান দিয়েছেন বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অর্থব্যবস্থার একদম গোড়ায়। এখানেই তার বিশেষত্ব।
এরপর আছে বইয়ের নামপ্রবন্ধ, যেখানে তিনি উন্নতির সাথে অভ্যুত্থানের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। বইটির প্রতিটি লেখাই বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্রকে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছে। ফলে, এখানে সমাজ ও রাষ্ট্রকে দেখা যায় পরিষ্কারভাবে, বা সেই চেষ্টাটা আছে।
উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান
লেখক : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
বিষয় : প্রবন্ধ
প্রকাশকাল : ২০২৫
প্রকাশক : কথাপ্রকাশ
দাম : ৫০০ টাকা।
বইটি কিনতে চাইলে:
উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান (Unnati Utthan Abbhutthan) – বাহিরানা