বাহিরানা

নীরবতার ভাষা ও অন্যান্য বই রিভিউ—রামেন্দু মজুমদার—শিল্পাঙ্গনের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক


দিপু চন্দ্র দেব

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে রামেন্দু মজুমদার কৃতি শিল্পী। তিনি ভাবনাকে রূপ দিতে পারেন, অভিনয়, নির্দেশনায় এবং লেখায়। তবে, রামেন্দু মজুমদারের নীরবতার ভাষা ও অন্যান্য বইটিকে বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক হিসেবেও পড়া যেতে পারে। বইয়ের ১৬টি প্রবন্ধে তিনি তার শিল্পের দায় ও চিন্তাকে ভাষা দিয়েছেন।

বইটির একটি বিশেষ দিক হলো বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গন রাজনীতির সাথে কীভাবে সম্পর্কিত তার একটা আভাস পাওয়া যায় এখানে।

বইয়ের বেশিরভাগ প্রবন্ধই ২০২৪-এর শেষ দিককার। সেখানে তিনি বিগত আমলের বিভিন্ন অবদমনের কথা তুলে ধরেছেন। নাম প্রবন্ধে বিষয়টি নিয়ে বলেছেন তিনি, “নীরবতা বা মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ। কথাটা সর্বক্ষেত্রে সঠিক নয়।” এখানে মৌনতা শব্দটি ভুল, সঠিক শব্দ হবে মৌন। তিনি প্রচলের প্রতি সম্মতি জানাতে সম্ভবত “মৌনতা” বেছে নিয়েছেন। তার নীরবতার একটি ব্যাখ্যা হিসেবে পড়া যেতে পারে প্রবন্ধটিকে।

বক্তব্যের সমর্থনে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক গুণীজনের উদাহরণ টেনেছেন তিনি। বইটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি লেখা হলো, “ঘৃণার চাষাবাদ” “আশায় বাঁধি বুক” “আজকের বাংলাদেশ: বিক্ষিপ্ত ভাবনা” “রবীন্দ্রনাথের প্রাসঙ্গিকতা” “জন্মশতবর্ষে মুনীর চৌধুরী”।

কিছু স্মৃতিকথাও স্থান পেয়েছে বইটিতে, যেমন, “বাবার বন্ধু” “চৌমুহনী কলেজে শিক্ষকতার আনন্দময় স্মৃতি”। বইটির একটি বিশেষ দিক হলো, বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গন রাজনীতির সাথে কীভাবে সম্পর্কিত তার একটা আভাস পাওয়া যায় বইটিতে। এই বিষয়টিকে ধরতে পারলে বুঝতে সহজ হবে কেন নীরবতা, কিংবা কখন সরবতা প্রাসঙ্গিক হয়। বইটি পাঠকদের ভালো লাগবে বলা যায়।

নীরবতার ভাষা ও অন্যান্য
লেখক : রামেন্দু মজুমদার
বিষয় : প্রবন্ধ, রাজনীতি
প্রকাশকাল : ২০২৫
প্রকাশক : কথাপ্রকাশ
দাম : ৩৫০ টাকা।


মন্তব্য করুন